মালেক আহমেদ– ভালোবাসার এক সুবর্ণ ইতিহাস

Spread the love

প্রাক কথন______________
জকিগঞ্জের সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ঠ সমাজসেবী,শিক্ষক, রাজনীতিবিদ,লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব মালেক আহমেদ আমার আপন বড়ভাই। তিনি গত ১০.০৪.২০২২ তারিখ শনিবার ফজর নামাজের পর তেলাওয়াত ও তাসবি তাহলিল পড়ে, বিবাহিত দুই মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলে এবং বাড়িতে থাকা পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বার্তা বলে ঘুমিয়ে যান। সকাল সাড়ে ছয়টার সময় ঘুম থেকে ঊঠে তিনি ওয়াশরুমে ঢুকতেই পড়ে যান। আমার বোন ও ভাবী শব্দ শুনে তাঁকে প্রায় অচেতন অবস্থায় রুমে নিয়ে এসে কালিমা পড়ান। অতঃপর রোজাদার অবস্থায় তিনি তাঁর স্ত্রী, এক পুত্র,তিনকন্যা ও ভাই-বোন ও আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে রাব্বুল আলামিনের দিদারে চলে যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শিক্ষক মালেক আহমেদ __
তিনি পেশায় শিক্ষক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ঐতিহ্যবাহী ইছামতি হাইস্কুলে অফিস কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ‘সীমান্তিক ইন্টারন্যাশনাল হাইস্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষকতায়ও মনোনিবেশ করেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করলেও, বিশেষ ভাবে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবেই কিংবদন্তিতূল্য মর্যাদা লাভ করেন। তিনি ইংরেজি বিষয়ের একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন, যেখানে কোনো ফি নির্ধারিত ছিলনা,এই কোচিং সেন্টারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগে থাকতো। এই সেন্টারে তিনি অনেক গরিব ছাত্র ছাত্রীকে বিনামূল্যে পড়াতেন, অনেকে মাসে মাত্র একশ’,দেড়শ’ টাকাও দিতেন।

তিনি টেন্স,ন্যারেসন ও জিরান্ড ইত্যাদি ক্লাসিক্যাল বিভিন্ন বিষয়ে অনেক আধুনিক ও সহজ নোট তৈরি করে ল বিনামূল্যে ছাত্র ছাত্রী ও সমমনা শিক্ষকদের দিতেন।

সমাজসেবী মালেক আহমেদ_
একজন নির্লোভ-নিরহংকারী সমাজসেবী হিসেবেও তিনি যথেষ্ট সুনামের অধিকারী ছিলেন। তিনি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় বড়ভাই, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সংস্থা সীমান্তিকের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি সীমান্তিক প্রতিষ্ঠার পর একাধারে অনেকবার সহ বিভিন্ন সময়ে অন্তত ১৬ বছর সীমান্তিকের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক/মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে সততা,নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সীমান্তিকের শুরুর দিকে নাইট স্কুল পরিচালনা, হাঁস-মুরগী- মৎস্য খামার পরিচালনা,ইনকাম জেনারেটিং প্রজেক্ট পরিচালনা, ফ্লাড ক্যাম্প,মেডিকেল ক্যাম্প ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। সীমান্তিকের শুরুর দিকে কালীগঞ্জে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক আই ক্যাম্প বাস্তবায়নেও তিনি অনন্যসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তখন এলাকায় কারেন্ট ছিলোনা, রাস্তাঘাট পাঁকা ছিলোনা, ভালো গাড়ি ছিলনা। সে অবস্থায়ও তিনি তাঁর দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা আন্তরিকতার সাথে পালন করার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বার বার সীমান্তিকের সাধারণ সম্পাদক/ মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। মৃত্যুকালেও তিনি সীনান্তিকের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

সালিশ মালেক আহমেদ___
সমাজসেবার অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন পারিবারিক সালিশেও দায়িত্ব পালন করতেন। পারিবারিক সালিসে তিনি সমঝোতার উপর সবিশেষ জোর দিতেন।

রাজনীতিবিদ মালেক আহমেদ_
রাজনীতিতেও তিনি খুব ই সোচ্চার ছিলেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তাঁর ছিল অবিচল আস্থা। এ জন্য জীবনের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি যুক্ত হন। এর ই ধারাবাহিকতায় তিনি বিগত বহু বছর থেকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলাধীন মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সুসংগত করার পাশাপাশি তৃণমূলকে শক্তিশালী করায় অনন্যসাধারণ ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন।
বর্তমান কম্পিটারাইজড ডাটাবেইজ ধারণার অনেক আগেই, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় তিনি তৃণমূলকে শক্তিশালী করার জন্য থানা/ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড ও সেন্টার কমিটি তৈরি করে তা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রেরণ করেন,যা বর্তমানে সারা দেশে ই অনুসৃত হচ্ছে।

গ্রাম সরকার মালেক আহমেদ __
গ্রাম তাঁর সুশৃঙ্খল নেতৃত্বগুণের কারণে ১৯৭৮ সালে মাত্র ২০-২২ বছর বয়েসে তৎকালীন সরকারের পরিচালিত গ্রাম সরকার ব্যবস্থায় প্রকাশ্য ও প্রত্যক্ষ ভোটে গ্রাম সরকার প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য তাঁকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা বারবার অনুরোধ করলেও, তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ বিনয়ের সাথে সবাইকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে এ ধরণের নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মালেক আহমেদ_
সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তাঁর দৃপ্ত পদচারণা। দশম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন ১৯৭২ সালে তিনি পলাশীর যুদ্ধ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙ্গালির সংগ্রামের চালচিত্র ভিত্তিক নাটক ‘রক্তের পাতায় মুক্তি ও বীর মোহন লাল’ নাটকের সংলাপ সংযোজন সহ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।
এই নাটকটি তখন ইছামতি হাইস্কুল, মানিকপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ও কালীগঞ্জ বাজার সহ জকিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বহুবার মঞ্চস্থ হয়। অল্প কিছুদিন তিনি গ্রামীন যাত্রা পালার সাথে যুক্ত থাকলেও, আমাদের পারিবারিক,সামাজিক ও ধর্মীয় পরিবেশ বিবেচনায় অচিরেই তা থেকে বিরত হয়ে যান।

ইসলামি সঙ্গীতে মালেক আহমেদ_ পরবর্তীতে ইসলামী জীবনবোধে উজ্জীবিত হয়ে কাজী নজরুল রচিত ইসলামী গানের প্রতি ঝোঁকে পড়েন। খোঁদার প্রেমের সরাব পিয়ে, রমজানের ঐ রোজার শেষে,খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে, আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ, মনে বড় আশা ছিল যাব মদীনায়, এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া,থাকব না আর এই আবেশে,আল্লাহ মেঘ দে পানি দে,ছায়া দে রে তুই, ওলী আল্লাহর বাংলাদেশ-রহিম গাজীর বাংলাদেশ,খাঁচার ভিতর অচীন পাখি কেমনে আসে যায় এবং ছেড়ে দে নৌকা মাঝি যাব মদিনা ইত্যাদি আধ্যাত্মিক সংগীত তিনি প্রায় ই গাইতেন। ফেইসবুক বের হওয়ার পর তিনি এ ধরণের অনেক গান-গজল গেয়ে এগুলোর সচিত্র ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন,যা এখনো তাঁর আইডি Malek Ahmed –এ দৃশ্যমান।

সবার প্রিয় Zakiganj Tv তাঁর জানাজার ভিডিওর সাথে তাঁর স্বকন্ঠে গাওয়া “খোদার প্রেমের সরাব পিয়ে” গানটি প্লেব্যাক হিসেবে বাজিয়ে এক অনন্য আবহ সৃষ্টি করেছেন বলে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সাহিত্যিক মালেক আহমেদ__
তিনি লেখালেখির সাথেও যুক্ত ছিলেন। মাঝে মাঝে কবিতা লেখলেও, গল্প ও উপন্যাস লেখায় তাঁর বেশি আগ্রহ ছিল। তাঁর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস ‘আবার ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া’ এক অনন্য সৃষ্টি। এই পান্ডুলিপিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের আবহ তোলে ধরেছেন অনন্য ও নিখুঁত ভাবে।
ছোটগল্প লেখায়ও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ‘মা’, ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ ও ‘স্কুলড্রেস’ সহ তাঁর অনবদ্য কিছু ছোট গল্প বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। গল্পগুলো এখনো তাঁর ফেইসবুক আইডিতে বিদ্যমান আছে।

ব্যক্তিগত জীবনে মালেক আহমেদ_ ব্যক্তিগতভাবে তিনি খুব অল্পেতুষ্ট মানুষ হিসেবে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত মহলে এক অপূর্ব মানবিক বলয় গড়ে তোলেছিলেন। তিনি বড়দের যেমন প্রাণ উজাড় করে শ্রদ্ধা করতেন, তেমনি ছোটদের স্নেহ করতেন আন্তরিক ভাবে। কারো ভুলকে বড় করে না দেখে, তিনি ক্ষমা করে দিয়ে,শোধরাবার পরামর্শ দিতেন। অনেক সময় চোর ধরলেও, তাঁর কারণে চোরকেও শাস্তি নাদিয়ে ছেড়ে দিতে হত। তাঁর সাথে কোন বিষয়ে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হার-জিত যা ই হোক না কেন, তিনি পরক্ষণেই তা ভুলে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে অবলীলায় মিশে গিয়ে পুনরায় একসাথে কাজ করতে অভ্যস্ত ছিলেন।

আমাদের ভাইবোন,ফার্স্ট কাজিন,সেকেন্ড কাজিন,থার্ড কাজিন ছোট বড় সবাই সহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ রাখতেন সব সময়।

চলাফেরায় তিনি ছিলেন অত্যন্ত সহজ সরল। আটপৌরে জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন। যে কোন পরিবেশে নিজেকে স্মার্টলি উপস্থাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। কোন পরিবেশ ভাল না লাগলে, অযথা হৈ হল্লা না করে তিনি নীরব প্রতিবাদে অভ্যস্ত ছিলেন।

পারিবারিক জীবনে মালেক আহমেদ_ পারিবারিক জীবনবোধে তিনি সবার সাথে অত্যন্ত অমায়িক হলেও, বাড়ি-ঘর-সম্পত্তির প্রতি তিনি ছিলেন নির্লিপ্ত। আল্লাহ পাকের উপর ছিল অগাধ আস্থা। আর্থিক বা অন্য কোনো সমস্যায় পড়লে হা-হুতাশ না করে বলতেন, চিন্তা করিওনা,আল্লায় দিবা”। খুব আহামরি জীবন যাপন না করলেও স্মার্ট থাকতে পছন্দ করতেন। খুব উন্নত জীবন ব্যবস্থা না দিলেও,আল্লাহ পাক তাঁকে উজাড় করে সহযোগিতা দিয়েছেন।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়ণকালে আমাদের বাবা মারা যাওয়ার পর, আমাদের বাল্যবিধবা মা ও তিনি আমাদের সংসারের হাল ধরেন। আল্লাহ আমাদেরকে এ পর্যায়ে ন্যুনতম ডাল ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এটি ই কম কিসে? আমি এ পর্যায়ে রাব্বুল আলামিনের শুকরিয়া আদায় করছি।
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি,সুবহানাল্লাহিল আজিম।

অত্যন্ত ভাল ঘরে তাঁর দুই মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়েছে। তাঁর দুই জামাতা শিক্ষক-ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলাম ও সনামধন্য যুব নেতা সারওয়ার হোসেন রাজা তাঁকে আপন বাবার মত স্নেহ-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখেছিলেন। তিনিও জামাতাদের নিজের ছেলের মত সুখে-দুঃখে কাছে টেনে নিতেন, প্রাণ খোলে মিশে তাঁদের কাছে আনিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করতেন।

শেষ বিদায়ে মালেক আহমেদ__
তাঁর উদারচিত্ত মন মানসিকতার ফসল হিসেবে তাঁর মৃত্যু কালীন ও মৃত্যু-পরবর্তী অনুষ্ঠানাদি রাব্বুল আলামিনের কৃপায় অত্যন্ত শুভ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কিছুতেই কোন কমতি হয়নি। আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় বড়ভাই ড. আহমদ আল কবির (যিনি আমাদের পিতার মত স্নেহ দিয়ে আমাদের দেখাশোনা করেন), খলিল আহমদ, আহমদ আল হাসান,আল ফয়ছল, শাহিদ আহমদ,ড.আহমদ আল ওয়ালী সহ ছোট বড় অপরাপর চাচাতো ভাই বোন ও আত্মীয় স্বজন সহ তাঁর বন্ধুবান্ধব সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসা দিয়ে বিদায় জানিছেন।

সবার ভালোবাসায় মালেক আহমেদ_
তাঁর মৃত্যু সংবাদে আমাদের অগ্রজতুল্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জননেতা মাশুক উদ্দিন আহমদ,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মস্তকীম আলী হায়দার ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দস সবুর, জকিগঞ্জের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন ও বর্তমান মেয়র মোঃ আব্দুল আহাদ,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বুরহান উদ্দিন, মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মোঃ রায়হান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মস্তুফা উদ্দিনসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীবৃন্দ, সীমান্তিক পরিবারের ডিইডি মোঃ পারভেজ আলম ও কাজী হুমায়ুন কবির, অধ্যক্ষ আব্দুর রৌফ তাপাদার, অধ্যক্ষ নজরুল হক তাপাদার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ, ইছামতি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জালাল আহমদ ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ কুতুব উদ্দিন সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-প্রধানশিক্ষক-সুপার ও শিক্ষক-ছাত্র ছাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় আমাদের অভিভূত করেছে।

তাঁর জানাজায় সর্বস্তরের গণমানুষের বিশাল উপস্থিতি আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে, মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকলে মানুষ প্রতিদান দিতে জানে।

সবার দোয়ায় মালেক আহমেদ_
আমি এ পর্যায়ে তাঁর মৃত্যুতে যাঁরা বাড়িতে ও জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন এবং দেশ-বিদেশ থেকে টেলিফোন-ইন্টারনেটের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি আমাদের পরিবার-পরিজনদের পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পরিশেষে সবার প্রতি অনুরোধ, আপনারা তাঁর ব্জন্য দোয়া করবেন,যেন রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আমিন। আমিন। ছুম্মা আমিন।

লেখক–মোঃ মাজেদ আহমেদ (মাজেদ আহমেদ চঞ্চল),
চেয়ারম্যান,সীমান্তিক ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, আরটিএম আলকবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, সিলেট।)


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *